ইসরায়েলের বিধ্বংসী হামলার মধ্যে যখন গাজা মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মুখে, তখন সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির রেড ক্রিসেন্ট ১৬৫টি ট্রাক পাঠিয়েছে, যাতে রয়েছে ৩ হাজার টন খাদ্যসামগ্রী। এর মাধ্যমে মাসব্যাপী খাদ্য সহায়তা পাবেন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।
তুরস্কের হিলাল আহমার (তুর্কি রেড ক্রিসেন্ট) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার ১৬৫টি ট্রাক খাদ্যসামগ্রী গাজা অভিমুখে রওনা হয়। এসব ট্রাক রাফা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের অস্থায়ী অনুমতির পর কেরেম আবু সালেম সীমান্তে প্রবেশ করে।
ত্রাণগুলোতে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার টন খাদ্যসামগ্রী, যা প্রায় ৫০ হাজার মানুষের এক মাসের খাদ্যচাহিদা পূরণে সক্ষম।
তবে ইসরায়েল এই ত্রাণ সরবরাহে নানা বাধা সৃষ্টি করছে। রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশ ধ্বংস করে দেওয়ায় ট্রাকগুলো সরাসরি গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না।
হিলাল আহমারের প্রধান ফাতমা মেরিচ ইয়েলমাজ বলেন, "গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তার পূর্ণ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।"
তিনি আরও জানান, ইসরায়েল সম্প্রতি খানে ইউনুসে রেড ক্রিসেন্টের একটি দলকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।
এর আগে, ২৬ জুলাই ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম জানিয়েছিল, সেনাবাহিনী ১,০০০-রও বেশি ট্রাকে থাকা খাদ্য, পানি ও ওষুধ ধ্বংস করেছে, যা গাজার প্রবেশপথে নষ্ট হয়ে যায় বিতরণে অনুমতি না পাওয়ায়।
গাজার সরকার জানায়, ২৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েল মাত্র ৬৭৪টি ট্রাক প্রবেশ করতে দিয়েছে, যা দৈনিক চাহিদার মাত্র ১৪ শতাংশ।
গাজা বর্তমানে ভয়াবহ মানবিক দুর্যোগে। অক্টোবরে শুরু হওয়া গণহত্যা ও মার্চে সীমান্ত বন্ধের ফলে দুর্ভিক্ষ চরমে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত ২.১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছেন, এবং আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ।