তুরস্ক সম্প্রতি এমন এক শক্তিশালী ‘অপরমাণু বোমা’ প্রকাশ করেছে যার নাম ‘গাজাব’। এটি পারমাণবিক নয়, কিন্তু ধ্বংসের ক্ষমতায় পারমাণবিকের চেয়েও ভয়ংকর বলে দাবি করছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। এর ঘোষণার পরই চাপে পড়েছে ভারত, ইসরাইল এবং পশ্চিমা সামরিক জোটগুলো।
২০২৫ সালের জুলাইয়ে তুরস্কে অনুষ্ঠিত ‘১৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্প মেলা’য় প্রকাশ্যে আনা হয় ‘গাজাব’ ও ‘হায়ালেত’ নামের দুটি অত্যাধুনিক বোমা। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে তৈরি এই বোমাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো ‘গাজাব’।
প্রায় ২০০০ পাউন্ড (৯৭০ কেজি) ওজনের এই বোমাটি যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া যাবে এবং বিস্ফোরণের সময় একাধিক বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। বিস্ফোরণে ১ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে ১০০,০০০ ধাতব টুকরো, যা শত্রু ঘাঁটি ও কৌশলগত কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে।
গাজাবের অভ্যন্তরে রয়েছে পরিবর্তিত ফিলার ও ‘ইন্টারনাল রিব’ প্রযুক্তি, যা সাধারণ বোমার তুলনায় এটি তিন গুণ বেশি কার্যকর। বিস্ফোরণের পর এটি এলোমেলো নয়, বরং ‘নিয়ন্ত্রিত ধ্বংস’ ঘটায়, যার ফলে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট আঘাত হানা সম্ভব।
তুরস্কের এই পদক্ষেপ পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি আরও সংবেদনশীল, কারণ তুরস্ক এর আগেও কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে এবং অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
ভারতের কৌশলগত বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘গাজাব’ কোনো পারমাণবিক অস্ত্র না হলেও, এর বহুমাত্রিক প্রয়োগ এবং ‘নির্বিচার ধ্বংসক্ষমতা’ ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ইসরাইল ও আমেরিকাও এই অস্ত্রের বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহারের সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন