বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ‘বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার নেটওয়ার্ক ফাঁস’—এই শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর দাবি করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে আইএসপিআর। সংস্থাটি জানিয়েছে, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের অবসর ছিল নিয়মিত এবং বিধি অনুযায়ী।
‘দৈনিক আমার দেশ’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমের পত্রিকা, ইউটিউব ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ৪ আগস্ট ২০২৫ তারিখে “বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরের ‘র’ নেটওয়ার্ক ফাঁস” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে দাবি করা হয়, বিমান বাহিনীর ছয়জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং দুই ফ্লাইট লেফটেন্যান্টকে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার (ইঙ্গিত করা হয়েছে ভারতের ‘র’ সংস্থাকে) সাথে সম্পর্কের অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
তবে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) একে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ ও ‘প্রমাণহীন’ বলে উল্লেখ করেছে। আইএসপিআরের ভাষ্যমতে, উল্লেখিত আটজন কর্মকর্তার প্রত্যেকেই প্রচলিত নিয়মে নির্ধারিত চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী অবসর নিয়েছেন, যা রেকর্ডভুক্ত এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সংস্থাটি জানায়, এ ধরনের সংবাদ না শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে, বরং সামগ্রিকভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
আইএসপিআর সকল সংবাদমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বিমান বাহিনী–সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রচারের আগে তাদের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য যাচাই করতে।