মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জন্সনের পশ্চিম তীর সফর এবং ইসরায়েলের “ঐতিহাসিক অধিকার”-সংক্রান্ত মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের দপ্তর একে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে।
মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জন্সন সোমবার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অবৈধ বসতি "আরিয়েল" সফর করেন এবং সেখানে দাঁড়িয়ে বলেন, “এই অঞ্চল ইহুদি জনগণের সম্পত্তি।” এ বক্তব্যে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইন বলেন, “জন্সনের এই দাবি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৩৩৪ নম্বর প্রস্তাবসহ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।”
এই প্রস্তাবে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সবধরনের ইসরায়েলি বসতি অবৈধ। ফিলিস্তিন দাবি করেছে, এ ধরনের বক্তব্য শুধু অশান্তি উসকে দেয় না, বরং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
আবু রুদেইন বলেন, এই মন্তব্য ১৯৯৩ সালের ওয়াশিংটন চুক্তি বা 'অসলো চুক্তি'রও পরিপন্থী, যেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের স্বীকৃতি দেওয়া হয় পূর্ব জেরুজালেমসহ ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী।
এর আগে ২৮-২৯ জুলাই নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত দুই রাষ্ট্র সমাধান বিষয়ক সম্মেলনে বিশ্বনেতারা ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দিয়ে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান, যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এই সম্মেলন বয়কট করে।
মাইক জন্সন হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি (রাষ্ট্রপতি ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পর)। তাঁর এ সফর পশ্চিম তীরের অবৈধ বসতিতে কোনো উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার প্রথম সরকারি সফর।
এই সময় তিনি ১৫ জন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যসহ গাছ রোপণের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বলেন, “এই অঞ্চল আমাদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু।”
এদিকে, পশ্চিম তীরেও চলমান ইসরায়েলি দমন-পীড়নে এ পর্যন্ত ১,০১৩ ফিলিস্তিনি নিহত ও প্রায় ৭,০০০ আহত হয়েছেন, পাশাপাশি ১৮,৫০০-এর বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন