ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর “তলুউ আল-ফাজর” (ভোরের উদয়) নামে সাম্প্রতিক মহড়ায় দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় গুরুতর দুর্বলতা ধরা পড়েছে। ইরান, হিজবুল্লাহ ও অন্যান্য আঞ্চলিক ফ্রন্ট থেকে একযোগে হামলার সম্ভাবনা মাথায় রেখে পরিচালিত এই মহড়া সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
“তলুউ আল-ফাজর” মহড়ায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির চিত্রায়ন করা হয়—যেমন, কৌশলগত স্থাপনায় রকেট হামলা, জর্ডান সীমান্তের তিনটি দিক থেকে সাঁজোয়া যান অনুপ্রবেশ, পশ্চিম তীরের বসতিতে সশস্ত্র হামলা, সীমান্তে অনুপ্রবেশ, মহাসড়ক ৬-এ যানবাহন ধ্বংস, এবং লেবানন ও ইয়েমেন থেকে রকেট বর্ষণ।
মহড়ার আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল ইরান ও হিজবুল্লাহকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যে, ইসরায়েল হুমকি সম্পর্কে সচেতন এবং সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ক্ষতির বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও জানান, ইসরায়েল সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও শিন বেত বর্তমানে বিদেশে ইসরায়েলি স্বার্থ ও ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে বিপুলসংখ্যক সতর্কবার্তা মোকাবিলা করছে, যা সংঘাতের ভৌগোলিক পরিসর সীমান্তের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন