দেশের সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ–২০২৫’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
রবিবার নৌবাহিনী সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় ‘নৌ ও বিমানবাহিনী নির্বাচনী পর্ষদ–২০২৫’–এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সমুদ্রসম্পদভিত্তিক টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (MIDA) গঠনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যার সফল বাস্তবায়নে নৌবাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বলেন, “শুধু সামরিক নিরাপত্তা নয়—জাতীয় শিক্ষা, প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং দুর্যোগকালে সহায়তার ক্ষেত্রেও নৌ ও বিমানবাহিনী অতুলনীয় ভূমিকা রাখছে।” একইসঙ্গে তিনি আধুনিক, মানবিক, নৈতিক ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব গঠনের জন্য দক্ষ কর্মকর্তাদের নির্বাচন করতে নির্বাচনী পর্ষদকে দিকনির্দেশনা দেন।
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “নাগরিক আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে নৌ ও বিমানবাহিনী।” এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান এবং বিমানপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন উভয় বাহিনীর প্রধানগণও। তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতি ও নির্দেশনা তরুণ অফিসারদের প্রেরণা জুগিয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন ড. ইউনূস।
অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করে স্মরণ করা হয় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার নিহতদের ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনে প্রাণ উৎসর্গকারীদের। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতিও জানানো হয় গভীর শ্রদ্ধা।