ইরান গত কয়েক মাসে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত পরমাণু বিজ্ঞানী রুজবেহ ভাদি’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তেহরান জানিয়েছে, এসব মামলায় কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে এবং উদাহরণ সৃষ্টি করা হবে।
শনিবার তেহরানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গিরি জানান, গ্রেফতার হওয়া ২০ সন্দেহভাজনের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে সঠিক সংখ্যা তিনি প্রকাশ করেননি।
গত বুধবার ইরান রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করে যে, পরমাণু বিজ্ঞানী রুজবেহ ভাদি’কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ইসরায়েলের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন এবং জুন মাসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরেক বিজ্ঞানীর বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করেছিলেন।
বিচার বিভাগের মুখপাত্র বলেন, “সিয়োনিস্ট শাসনের গুপ্তচরদের প্রতি কোনো সহানুভূতি দেখানো হবে না। কঠোর রায়ে তাদের উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।” তদন্ত শেষ হলে পুরো বিস্তারিত জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
মানবাধিকার সংগঠন এইচআরএএনএ (HRANA) জানায়, জুন মাসে ইসরায়েলের টানা ১২ দিনের বিমান হামলায় ইরানের ১,১৯০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ৪৩৬ জন ছিলেন বেসামরিক এবং ৪৩৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। হামলায় শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী, স্থাপনা ও আবাসিক এলাকা লক্ষ্যবস্তু হয়। ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইসরায়েলের ২৮ জন নিহত হয়।