ভারতের পুনে শহরে ঘটে গেল চরম অসম্মানজনক এক ঘটনা। অবসরপ্রাপ্ত কারগিল যুদ্ধযোদ্ধা হাকিমুদ্দিন শেখ ও তাঁর পরিবারকে ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনাটি দেশজুড়ে প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্রের প্রতি যোদ্ধাদের প্রতি আচরণ ও ধর্মীয় পরিচয়ভিত্তিক বৈষম্য নিয়ে।
১৬ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করে ২০০০ সালে অবসর গ্রহণ করেন হাকিমুদ্দিন শেখ। তিনি বর্তমানে পরিবারসহ পুনের চন্দন নগরে বসবাস করছেন। শনিবার রাতে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন পুরুষ তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। পরিবারটির অভিযোগ, তাঁদের রাত ৩টার মধ্যে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে বলা হয়, অন্যথায় ‘রোহিঙ্গা’ বা ‘বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
হাকিমুদ্দিন শেখ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আমি কারগিলে যুদ্ধ করেছি, আমার পরিবার বহু বছর ধরে এখানে বসবাস করছে। এখন আমাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে বলা হচ্ছে—এটা অসম্মানজনক।”
পরিবার জানায়, কাগজপত্র দেখানোর পর সেগুলোকে ভুয়া বলা হয়। শেখের ভাতিজা শামসাদ শেখ জানান, রবিবার আবার পুলিশ তাঁদের ডাকে, দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পর বলা হয়, ইন্সপেক্টর আসবেন না। তাঁদের কাগজপত্র তখনো পুলিশের কাছেই থেকে যায়।
পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের প্রমাণ মেলেনি। ডেপুটি কমিশনার সোমায় মুণ্ডে জানান, একটি গোপন সূত্র থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং যাচাইয়ের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একপক্ষ বলছে, এটি মুসলিম পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে জাতিগত প্রোফাইলিংয়ের নিকৃষ্ট উদাহরণ।
মন্তব্য করুন